নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে রামুর চৌমুহনীস্থ বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো সহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে রামু থানায় ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার ( ১৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ আহমেদ চৌধুরী মাহিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমন কান্তি চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- রিয়াজুল আলম, আলী হোছন, ফরিদুল আলম, মোজাফফর আহমদ হেলালী, হোছেন আহমদ আনছারী, নুরুল হক, আব্দুল মাবুদ, তপন মল্লিক, আজিজুল হক, ইমাম হোসেন ইমরান, সাজ্জাদ ইসলাম, জসিম উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন, ওসমান গনি, নজিবুল হক আরকান, সালাহ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন বাবলা, শাহদাত হোসেন, খোকন, নাছির, মাশেকুর রহমান, নুরুল হক জিকু, রাশেদুল হক বাবু, ইউনুছ ভুট্টো, হাবিব উল্লাহ, আনোয়ার হোসেন কালু, মিজানুর রহমান, অলি আহমদ, আপেল ভুট্টো, মিজানুল হক রাজা, সৈয়দ নুর, নীতিশ বড়ুয়া, আজিজ, ফরিদ মিয়া, মিজানুর রহমান, মোশারফ, মোহাম্মদ হোছাইন ও মোশারফ হোছেন পারভেজ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাদী মেরাজ আহমেদ চৌধুরী মাহিন সহ ১০-১৫ জন নেতা কর্মী নিয়ে তৎকালীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কক্সবাজার -৩ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী লুৎফর রহমান কাজলের রামু চৌমুহনীস্থ নির্বাচনী কার্যালয়ে নির্বাচনী প্রচার – প্রচারণা পরিচালনার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য অবস্থান করছিলেন। এসময় উল্লেখিত আসামীরা মিছিল নিয়ে এসে কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতা কর্মীদের ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং ৮টি মোটরসাইকেলে ডিজেল ছিটিয়ে অগ্নিসংযোগ করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়,আসামীরা নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে ককটেল ও হাত বোমা, শটগান , দেশি বিদেশি বিভিন্নরকমের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে একযোগে গুলিবর্ষণ করে। একইসময় আসামীরা সহ অজ্ঞাতরা নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করলে বাদী মাহিন সহ উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা বাঁধা প্রদান করলে আসামীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। ওই হামলায় বাদী মেরাজ আহমেদ চৌধুরী মাহিন সহ ১০-১৫ জন গুরুতর আহত করা হয় বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।
পাঠকের মতামত